নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে চট্টগ্রামজুড়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নতুন রূপে সাজছে বন্দরনগরী। পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী।
নগরীর রাস্তাঘাট সংস্কার, সড়কের পাশে থাকা দর্শনীয় স্থান ও বিভিন্ন স্থাপনা রঙিন করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌকার আদলে তৈরি করা হচ্ছে মঞ্চ। যেটির দৈর্ঘ্য ৮৮ ফুট, প্রস্থ ৪০ ফুট। মূল মঞ্চের সামনে থাকবে ১৬০ মিটার লম্বা একটি নৌকা। গত ১৫ নভেম্বর থেকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এই মঞ্চে একসঙ্গে ২০০ অতিথি বসতে পারবেন। সমাবেশস্থল ছাড়াও নিউমার্কেট, কদমতলী, সিআরবি ও টাইগারপাসসহ আশপাশের এলাকায় থাকবে ৩০০ মাইক।
বিশেষ করে নগরীর কাজির দেউড়ি, লালখান বাজার, ওয়াসা মোড়, বহদ্দারহাট, বিমানবন্দর এলাকা, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, নিউমার্কেট, কাস্টমস মোড় ও ইপিজেড মোড়সহ নগরজুড়ে শোভা পাচ্ছে তোরণ, ব্যানার-পোস্টার। চট্টগ্রামজুড়ে মাইকিং করার পাশাপাশি নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করে লোকজনকে জনসভায় আসতে উদ্বুদ্ধ করছেন। পাড়া-মহল্লায় চলছে পথসভা ও মিছিলসহ নানা অনুষ্ঠান।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম বলেন, পলোগ্রাউন্ডের জনসভা স্মৃতিময় করে রাখতে চান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রামের ইতিহাসে এটি হবে সবচেয়ে বড় সমাবেশ। যেখানে উল্লেখযোগ্য লোক সমাগম ঘটবে। বিপুল লোকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নগরী ও জেলায় বর্ধিত সভা করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ড এবং প্রতিটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা করা হচ্ছে। ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা নিজ নিজ ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগ দেবেন জনসভায়।